নৌকা ও সাঁকোই ভরসা হাজারো মানুষের

এম এ রাজ্জাক, নওগাঁ প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২২, ০৮:২৬ এএম

নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর খেয়াঘাটে একটি সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন আত্রাই নদীর পূর্বপাড়ের হাজারো মানুষ। বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের তৈরি ꦬসাঁকোই নদী পারাপারে হাজারো মানুষের একমাত্র ভরসা।

স্থানীয়দের দাবি, প্রসাদপুর খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে নদী পারাপারের অপেক্ষায় আর থাকতে হবে না। ঘুরতে হবে না অন্তত তিন কিলোমিটার দূরত্বের পথ। মাত্র ২০০ মিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে পৌঁছানো যাবে। অসুস্থ মানুষ (রোগীদের) সহজেই নেওয়া যাবে উপজেলা সদর হাসপাতালে। কৃষকদের পণ্য পরিবহণে ভোগান্তি ও ব্যয় দুটোই কমবে। একই সঙ্গে উপজেলার প্রসাদপুর, গনেশপুর, মৈনম, কাঁশোপাড়া ও কশব ইউনিয়নের লোক🎀জন সহজেই উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবেন বলেও জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর বলছে, ওই খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য কয়েক দফায় মাটি পরীক্ষা, স্থান নির্ধারণ ও সেতুর ধরন নিয়ে একাধিক জরিপ কাজ করেছেন এলজিইডি প্রধান কার্যাꦦলয়ের প্রতিনিধি দল। খুব শিগগিরই সেতুর নির্মাণ ক🍌াজ শুরু করা যাবে।

স্থানীয়রা জানান, মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর প্রসাদপুর খেয়াঘাটে একটি সেতুর অভাবে পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ অফিসগামী লোকজনকে। দেরিতে পারাপারের কারণে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়ꦡ। সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন পাঁচ ইউনিয়নের হাজারো মানুষ ।

খুদিয়াডাঁঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন নদী পারাপার করেন। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়ল♔ে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এ সময় নৌকার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। 🐬পারাপারে সমস্যার কারণে সময়মত গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। রাত ১০টার পর পারাপার বন্ধ হয়ে গেলে তিন কিলোমিটার ঘুরে পরে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের।

প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরিফ উদ্দিন বাচ্চু বলেন, “প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে হাজারো মানুষ পারাপার হন। ভরা বর্ষায় একসঙ্গে অতিরিক্ত লোক নৌকার চড়লে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেকে ঝুঁকি এড়াতে নদী পার না হয়ে দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে যা♌তায়াত করেন।”

স𒁏্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মণ্ডল জানান, সংকটাপন্ন রোগীদের হাসপাতালে নিতে এ অঞ্চলের মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নদী পারাপারের অপেক্ষায় না থেকে শুটকির মোড় থেকে ফেরিঘাট হয়ে ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় রোগীদের। দীর্ঘ স𒅌ময়ের কারণে এসব রোগীদের অনেককেই বাঁচানো সম্ভব হয় না।

গনেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী বলেন, “সেতু নির্মাণ করা হলে সাতবাড়িয়া মোড় হয়ে গনেশপুর, মৈনম ও কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের 🍌লোকজন মহাসড়ক ব্যবহার না করেই অতিদ্রুত উপ🔯জেলা সদরে পৌঁছাতে পারবেন। দক্ষিণ এলাকার লোকজনও একইভাবে সতিহাটসহ নওগাঁ জেলা শহরে যাওয়ার সুবিধা পাবেন।”

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান মিয়া বলেন, “বর্তমান সংসদ মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক প্রসাদপুর খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সেই লক্ষ্যে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের একাধিক টিম মাটি পরীক্ষা, স্থান নির্ধারণসহ সেতুর ধরণ নিয়ে কাজ করেছেন। গত বছর ওই সেতু নির্মাণ কাজের সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সেতুটির সম্ভাব্যতা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তি✨নি সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত এর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন।”