চাকরি ছেড়ে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল খামারে সাফল্য

রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২, ০৮:২৪ এএম

বাণিজ্যিকভাবে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাতক্ষীরার তালা 𝓰উপজেলা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের মফিꦦজুল ইসলাম।

দেশীয় ছাগলের পাশাপাশি ব্ল্যাক বেঙ্গল 🔴ছাগলের মাংসের যেমন চাহিদা রয়েಞছে, তেমনি দামও সন্তোষজনক হওয়ায় ছাগলের খামার গড়ে তিনি সাফল্য পেয়েছেন।

এক সময় তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় 🌳কাজ করতেন, হঠাৎ একদিন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় কোনো একটি বাড়ির ছাদের ওপর ছাগলের খামার ♏দেখতে পান, তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন পোশাক কারখানার চাকরি বাদ দিয়ে নিজে ছাগলের খামার করবেন।

২০১৯ সালের ৮ মার্চের পরে করোনাকালিন মাত্র ১৯টি ছাগল পালন শুরু করেছিলেন মফিজুল ইসলাম। কিন্তু প্রথমবার তার খামারের ২৮ বাচ্চা ছাগল মারা যায়। তবুও 🌼তিনি থেমে থাকেননি।

এখন তার খামারে ছোট 🌠বড় মিলিয়ে ছাগলের সংখ্যা ৬০টি, যেখান থেকে তার বছরে আয় প্রায় ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। তার খামারে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের পাশাপাশি দেশি ছাগলও রয়েছে। মফিজুলের সফলতা দেখে অনেকেই ছাগলের খামার করতে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম নিজ বসতবাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায়🦄 আরও বড় পরিসরে খামার করতে চান তিඣনি।

মফিজুল ইসলাম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পোশাক কারখানায় কাজ করꦦছিলাম। ২০১৯ সালে আমি নিজেই ১৯টি ব্♓ল্যাক বেঙ্গল ছাগল দিয়ে খামার শুরু করি। প্রথম বছরের আমার খামারের ২৮ ছাগলের বাচ্চা মারা যায়। কিন্তু তার পরের বছর থেকে আমি লাভবান হতে থাকি।

এই উদ্যোক্তা আরও জানান, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বꦆছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। প্রতিবার প্রজননে ২-৪টা বাচ্চা হয়। রোগ-বালাইও কম হয়। বছরে একবার টিকা দিলেই আর কোনো ওষুধ লাগে না। একটি ছাগল প্রতিদিন ১৫-২০ টাকা খাদ্য খায়। ছাগলকে খাওয়ান♈ো হয় গম, ভুট্টা, ছোলা বুটের গুড়ো, সয়াবিন ও ঘাস। তাই অল্প খরচে বেশি আয় করা সম্ভব।

তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাছুম বিল্লাহ বলেন, “দেশি ছাগলের পাশাপাশি আমরা ব্ল্যাক বেঙ্গল 𒉰ছাগল পালন করার জন্য উপজেলাতে ১০ প্রশিক্ষণ ও দুই জনকে টাকা দিয়েছি। উপজেলাতে মোট ১১৯টি ছোট বড় ছাগলের খামার রয়েছে। মোট ছাগল রয়েছে♎ ৪৭ হাজার ৫৫১টি। আমরা নিয়মিত তাদের ওই ছাগলের খামার পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে দিচ্ছি।”