ব্যাংক থেকে খোয়া যাওয়া সোয়া ৩ কোটি টাকার রহস্য উন্মোচন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম

ভাউচারের মাধ্যমে জমা হওয়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখা থেকে অন্য অ্যꦺাকাউন্টে চলে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার রহস্যের জট খুলেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

🐲বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পিবিআই এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়। এসময় আসামি মো. আব🌠ু তাহেরকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়।

গত ৬ জুলাই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাইবান্ধা শাখার এক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক জমা দেন। ওই টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্ꦐযালয়ের একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার কথা থাকলেও জমা হয় ঢাকার আল আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি হিসাব নম্বরে। বিষয়টি কিছুদিন পর গাইবান্ধা সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পিবিআইকে অবহিত করে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ জানান, গ্রেপ্তার আবু তাহের একজন আদম ব্যাপারী। গাইবান্ধা শাখা থেকে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরের একটি ডিজিট পরিবর্তন করে অথবা ভুল করায় আল আমির ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মো. আবু তাহেরের হিসাব নম্বরে জমা হয়। ওই হিসা🍸ব নম⛦্বরটি চেক করে দেখা যায়, আবু তাহের ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন।

এ ব্যাপারꩲে পিবিআইয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাইবান্ধা ও ঢাকার একটি টিম মো. আবু তাহেরকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার 🐈করা হয়। ১৫ লাখ টাকা আমির ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক হিসাবে জমা আছে। অবশিষ্ট ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারে ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে  তৎপরতা চালাচ♓্ছে পিবিআই।

প্রায় একমাস আগে খোয়া যাওয়া সোয়া তিন কোটি টাকা সো🍸নালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার❀ ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম গোপনেই সমাধানের চেষ্টা করেন। সেটা করতে ব্যর্থ হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে।