লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিয়ের ২৫ দিনের মাথায় স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে (১৮) হত্যার দায়ে মো. শাহজাহান (২৮) নামের এক ব🌠্যক্তিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচ🎉ারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌসুল🌳ি (পিপি) জস🔯িম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের বাউগ্যা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। ফাতেমা লক🍒্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলগী গ্রামের আলী আকাব্বরের মেয়ে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পারিবারিকভাবে শাহজাಌহানের সঙ্গে ফাতেমা আক্তারের বিয়ে হয়। এরপর থেকে যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন শাহজাহান। এরই মধ্যে প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। তাই ফাতেমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
বিয়ের কয়েকদিন পর ২১ আগস্ট শাহজাহানকে নিয়ে ফাতেমা রামগতির চর আফজাল গ্রামে তার বোন রাশেদা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান। ওইদিন রাতে তারা সেখানে অবস্থান💯 করেন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুইজনে বাড়ির কাছের একটি পুকুরে গোসল করতে যান। দীর্ঘ সময়েও তারা ঘরে ফিরে না যাওয়ায় বাড়ির লোকজন খুঁজতে থাকেন। সকাল ৯টার দিকে পুকুরে ফাতেমার মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা পু🔯লিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় ফাতেমার শাহজাহানের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ফাতেমার মাথায় আঘাত ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর ফাতেমার ভাই মো. মহিউদ্দিন ফাতেমার স্বামী শাহজাহানসহ 𝓡অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে রামগতি থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ 🃏নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শাহজাহানের পরকীয়া প্রেমিকার ভাই রায়হানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তদন্তে তার দোষ প্রমাণিত💫 হয়নি। পরে ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল রামগতি থানার উপপরিদর্শক আবদুল হাই আসামি শাহজাহানকে অভি🌊যুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে রায়হানকে নির্দোষ উল্লেখ করা হয়। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শাহজাহানের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।