সুনামগঞ্জে ভিডিও কলে রেখে পুলিশের এক উপ-পܫরিদর্শকের (এসআই) স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে শহরের বাঁধনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মাহফুজা সাজনা রিক্তা। তিনি তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপু💮র ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের স্বামী এসআই আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে দিরাই থানায় কর্তব্যরত।
নিহতের পরিবারের দাবি, এসআই আমির প্রথম স্ত্রীর কথা না জানিয়ে 🧸রিক্তাকে বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি লেগে থাকতো। তাদের অভিযোগ, প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানার পর রিক্তার ওপর মানসিক অত্যাচার চালাতেন। এ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রিক্তা আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত রিক্তার চাচী শারমিন বেগম জানান, এক বছর আগে রিক্তাকে বিয়ে করেন আমির। তখন তিনি জামালগঞ্জ থানায় চাকরি করতেন💞। আর রিক্তা সুনামগঞ্জে পড়াশুনা করতেন। পরিচয় থেকে প্রেম হওয়ার পরে দু’জন বিয়ে করেন। বিষয়টি মেনে নিয়েছিল রিক্তার পরিবার।
রিক্তার মা খা𒊎লেদা বেগম জানান, মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাতে রিক্তা তাকে জানান আমিরের পরিবার ও প্রথম স্ত্রী তাকে বকাবকি করেছে ও হুমকি-ধামকি দিয়েছে। এ কারণেই তার মেয়ে আ🎉ত্মহত্যা করেছে।
এ▨দিকে এসআই আমির দাবি করেছেন, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছি⛦ল না তার। তবে প্রায়ই রাগ করে মোবাইল ফোন ভাঙতেন রিক্তা।
আমির জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে রিক্তা তাকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করার কথা জানিয়ে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে লাগানো ফাঁস দেখান। আমির বাসার মালিককে ফোন করে বিষয়টি জানালে মালিক এসে বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফাঁ꧟স লাগানো অবস্থায় রিক্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছেജ। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।