পঞ্চগড়ে আষাঢ়ের বৃষ্টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা। এদিকে লাগাতার বৃষ্টিতে অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জেলার ৩৩টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে🌠।
সোমবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার🧸 (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৩০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বর্ষণে অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে কৃষি জমি, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর দাফাদার পাড়া এলাকার আবু হাসান জানান, টানা ভারি বর্ষণে আমাদের বাড়ির চারপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বাড়ির একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটিও তলিয়ে গেছꦺে।
ভজনপুর এলাকার দিনমজুর আব্দুল হাই বলেন, “গতকাল সনꦑ্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আজ সারাদিন কাজে যেতে পারিনি। আজ খুব🐟 সমস্যায় পড়তে হয়েছে।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানান, এই সময়ে মৌসুমি বায়ু বেশী সময় ধরে সকꦇ্রিয় থাকছে। অপরদিকে বঙ্গোপসাগরের ওপর জমে থাকা মেঘ দেশের উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে হিমালয়ের কাছাকাছি এসে ভারি বৃষ্টিতে রূপ নেয়। তাই এই বৃষ্টিপাত ভারত থেকে দেশের পঞ্চগড় জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গত কয়েকদিন এ জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে পঞ্চগড়ের জনগদ, গোয়ালঝাড়, তেঁতুলিয়ার ভজনপুর, শালবাহান রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় অতি বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি রাস্তার সংযোগ ভেঙে গেছে।