নড়াইলে রণক্ষেত্র

নূপুর শর্মাকে প্রণাম: অধ্যক্ষ-ছাত্রের গলায় জুতার মালা

নড়াইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২, ০৯:২৪ পিএম

ভারতের নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে এক কলেজছাত্রের ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে নড়াইলে ছাত্র ও স্থানীয় জনতার সঙ্গে পুলিশ♔ের�� সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্র🌠ি কলেজে ওই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশ-কলেজ শিক্ষকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছ🌞েন। 

এ সয়ম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস, প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস ও অরুণ ꦛকুমার রায়ের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে শুক্রবার (১৭জুন) রাতে নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে মন্তব্য করেন, “প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রী রাম’। শনিবার সকালে কলেজে আসে রাহুল। তাকে ছাত্ররা ফেসবুকের মন্তব্যটি ডিলিট করে দিতে বলেন। তিনি তা না করলে কলেজের কিছু ছাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের কাছে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া🐻র দাবি করেন। অধ্যক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ছাত্র-জনতা কলেজের ভেতর থেকে ওই ছাত্রকে বের করে আনতে চাইলে অধ্যক্ষ কক্ষে তালা দিয়ে পুলিশে খবর দেন।

এরপর কলেজে পুলিশ এসে রাহুলকে নিয়ে যেতে চাইলে ছাত্ররা বাধা দেয়। এরপর আরও পুলিশ আসে। স্থানীয় লোকজনও আসে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল চারটার দিকে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। পড়ে পুলিশ টিয়ার সেল নি♑ক্ষেপ করে পরিস্থিতি নি🧜য়ন্ত্রণ করে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশ্বাসেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এ সময় উত্তেজিত জনতার চাপে পরে পুলিশের পাহারায় জুতার মালা পরিয়ে রাহুল ও অধ্যক্ষকে পুলিশে হেফাজতে নিয়ে আসে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বলেন, “রাহুল ও অধ্য🔥ক্ষ থানা-হেফাজতে আছেন। এক পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থি💙তি নিয়ন্ত্রণে আছে।”