কুসিক নির্বাচন

জয়-পরাজয়ে জটিল সমীকরণ!

মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, কুমিল্লা প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২, ১০:০১ পিএম

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন🦂ে ছয় মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এতে কে হবেন ভবিষ্যতের নগরপিতা, তা নিয়ে জয়-পরাজয়ের সমীকরণ জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়র হওয়ার দৌড়ে ছয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন চারজন।

আলোচিত প্রার্থীরা হলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্🌌পাদক আরফানুল হক রিফাত, আওয়ামী লীগের ব🐭িদ্রোহী প্রার্থী কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত নিজামউদ্দিন কায়সার।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চার প্রার্থীর মধ্যে কেউ কেউ ২৬ তারিখের পরে নির্বাচনে না-ও থাকতে পারেন। একজন বড় প্রার্থী প্রতিপক্ষের মামলা-হামলার হুমকিতে সরে যেতে পারেন। তাকে নির্বাচনে এখনো সিরিয়াসভাবে দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া আরেকজন প্রার্থী দলের চাপে বসে যেতে পারেন। এমনও হতে পারে, এই চারজনের মধ্যে দুজনই সরে যেতে পা⛄রেন। সবশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বয়োজ্যেষ্ঠ ও সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থীর মধ্যে।

এদিকে মাঠে যত হিসাব-নিকাশই থাকুক, চার প্রার্থীই মাঠে থꦕাকবেন বলে জানিয়েছ🦹েন। সবাই তাদের নিজ নিজ জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

এ বিষয়ে আরফানুল হক রিফাত সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “যত অপপ্রচার হোক। আওয়ামী লী🔯গ 🧸আগের থেকে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।”

এদিকে মনিরুল হক সাক্কু জানান, কুমিল্লার জনগণ তাকে ভালোবাসেন। তাই তারা বারবার তাকে নির্বাচিত করেছেন। এবারও তারা তাকে জয়ী করবেন।
অন্যদিকে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান মন্তব্য করেন, তিনি কোনো দলের🅰 বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন না। ব্যক্তির বিরুদ্ধে✤ নির্বাচন করছেন। মানুষ জানে সাক্কু-রিফাত একই নেতার লোক। পরিবর্তনের আশা নিয়েই তিনি নির্বাচন করছেন।

আর নিজাম উদ্দিন কায়সার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, কুমিল্লার মানুষ মুক্তি চায়। আমি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছি।” তার প্রতি কুমিল্লা নগরবাসীর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি বিজয়ের হাসি হাসতে পারবেন বলে আশা করেন। 
৬ জন মেয়র প্রার্থী,🐎 ১১১ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৩৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ। ১৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে।