নওগাঁর খুচরা ও পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা বেড়েছে চালের দাম। য🎃া বস্তা প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
ব্যসায়ীরা বলছেন, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁর মোকামগুলোতে সব ধরনের ধান ও চালের দꦉাম বেড়েছে। পুরাতন চালের আমদানী না থাকা এবং ধানের দাম বৃদ্ধির জন্য বাজারে কিছুটা চালের দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় (১৭🐭 মে) নওগাঁ পৌর খুচরা ও পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারী বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালের দাম ১৫০-২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পুরাতন চালের আমদানী কম থাকায় নতুন চালের উপর চাপ সৃষ্টির কারনে এবং ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে বলে জানানܫ তারা।
পৌর খুচরা ও পাইকারী বাজারের অখিল খাদ্য ভান্ডারের স্বত্বাধীকারী অখিল মন্ডল জানান, বাজারে পুরাতন চালের আমদানী কম। তাই নতুন চাল কিনতে হচ্ছে। এর ফলে🌺 পুরাতন নতুন সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।
তিনি জানান, বাজারে পুরাতন কাটারী জাতের চাল বস্তা প্রতি ৩৪০👍০ টাকা কিনে তা ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। আর নতুন কাটারী ৩০০০ টাকা বস্তা কিনে ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তারা। আর দুই সপ্তাহ আগে পুরাতন কাটারী ৩২০০ এবং নতুন কাটারী ৩০০০ টাকা বস্তা কিনে ৬৮ টাকা এবং ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তারা । এদিকে (স্বর্না-৫) ২১৫০ টাকা কিনে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন যা দুই সপ্তাহ আগেও ২০০০ টাকা বস্তা কিনে ৪ꩵ৩ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তারা। অপরদিকে বাজারে জিরা জাতের চালের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। জিরা সার্টার ২৮৫০ টাকা কিনে ৬০ টাকা কেজিতে এবং জিরা পুরাতন ৩১০০ টাকা কিনে ৬৪ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তারা। বাজারে এমনভাবে সব জাতের চালের দাম বেড়েছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
হঠাৎ চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সরকারি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বোরো আবা๊দ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম হতে পারে। ধানের উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কার কারণ, বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধান কেনার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এ জন্য ধানের দাম বেড়েছে। ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম স্বাভাবিকভাবে একটু বেড়েছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু 🌌নয়। তবে বোরো ধান পুরোদমে উঠতে শুরু করলে দাম আবার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”