নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে নামছেন পর্যটকরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১০, ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনির’ কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নামতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সমুদ্🍸রে রয়েছে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত। তবুও পর্যটকরা𒊎 মানতে চান না নিষেধাজ্ঞা। বাধা উপেক্ষা করেই সৈকতে নামছেন লাখো পর্যটক। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়  ‘অশনিতে’ পরিণত হয়েছে। ফলে সমুদ্র বন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিচকর্মীদের ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়েরে প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য পর্যটকদের সাগরে নামতে নিষেধ করেছে ♊প্রশাসন।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, “আমরা সার্বক্ষণিক দাಞয়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনিরাপদ জোনে গোসল না করার জন্য 🌜মাইকিং করছি। পানিতে নেমেও সতর্ক করা হচ্ছে। তবে কিছু উৎসুক পর্যটক নির্দেশনা মানছেন না।

পর্যটকরা জানিয়েছেন, সাগরে সতর্ক সংকেত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কক্সব🍸াজারে বেড়াতে এসে কক্সবাজার সৈকতে ঘুরে বেড়ানোসহ সমুদ্রস্নান ও আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। এ কারণে তারা কিছুটা আতঙ্কিত হলেও নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণার পর ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক সজাগ রয়েছে, যেন পর্যটকরা গভীর পানিতে নেমে গোসল কিংবা ওয়াটার বাইক না চালান। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরি෴ণত আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকার কারণে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত অব্যাহত রয়েছে। যারা সতর্ক সংকেত না মেনে সমুদ্রের পানিতে নামছেন, তাদের কূলে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সমুদ্রের উত্তাল অবস্থা কমে গেলে বা পরবর্তীকালে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের সমুদ্🔯রের পানিতে নামতে দেওয়া হবে না। ঈদের পরে ছুটি শেষে কিছু পর্যটক চলে গেলেও এখনো লাখের কাছাকাছি পর্যটক কক্সবাজারে রয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, “ঘূর🧸্ণিঝড় ‘অশনির’ কারণে কক♌্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখানো হয়েছে। কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ১৪৫ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।”

এর প্রভাতে আগামী কয়েকদিন কক্সবাজারে꧒ মাঝারি থেকে💧 ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, সমুদ্র এখন উত্তাল রয়েছে। ইতোমধ্যে সাগরে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে কূলে চলে আসতে বলা হয়ছে। পরবর্তী সময়ের নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযানকে ⭕উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রায় ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, শুকনা খাবারসহ🅘 নানা প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তুত করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র।”