নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়ার (৪) জানাজা পড়িয়েছেন তার বাবা মাওলানা♊ আবু জাহের। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় হাজীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ব হাজীপুর গ্রামের মালেকার বাপের দোকান সংলগ্ন এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আজিম মির্জাসহ নিহত শিশুর স্বজন ও এলাকার কয়েকশ লোকজন উপ🉐স্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা সৌদিপ্রবাসী মাওলানা আবু জাহেরও (৩৭) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাসাদ মিয়ার বাড়ির মৃত জানু সরদারের ছেলে। বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার ১৪ নম্বর হাজীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মলকার বাপের দোকান এ💃লাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রিমন (২৫) একই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের দানিজ বেপারী বাড়ির মমিন উল্যার ছেলে।
১৪ নম্বর হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “রিমন এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী𓆉 অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।”
নিহত শিশুর মামাতো ভাই ব্যবসায়ী আবদুল্যাহ আল মামুন অভিযোগ করে বলেন, “কয়েক দিন আগে꧒ আমাদের বাড়ির আল আমিন নামে এক ব্যক্তি জমির মাটি রিমন বিক্রি করেন বাদশার কাছে। বাদশা ওই জায়গা থেকে ৬ ফিট মাটি কাটে। এরপর আরও মাটি কাটতে গেলে আমাদের বাড়ির লোকজন তাকে বাধা দেয়। মাটি কাটতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে রিমন ও তার সহযোগী রহিম, মহিন, সুজনসহ আরও কয়েকজন গত দুই দিন একাধিকবার আমাদের বাড়ি꧅তে এসে গোলাগুলি করে।”
মামুন আরও বলেন, “মাটি কাটার বিরোধের জের ধরে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে রিমনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী মালকার বাপের দোকানে এলাকায় অবস্থিত আমার দোকানে এসে আমাকে গালিগালাজ করে। ওই সময় আমার মামা জাহের তার শিশু মেয়ে জান্নাতুলকে নিয়ে দোকানে আসেಌ চিপস আর চকলেট কিনে দেওয়ার জন্য। সন্ত্রাসী রিমন আমার মামাকে গালমন্দ করে ও আমাদের গুলি করে। মামা দোকান থেকে বের হয়ে বাড়ির বাড়ির দিকে যেতে চাইলে রিমন ও তার বাহিনীর সদস্যরা পেছন থেকে পুনরায় জান্নাতুল ও মামাকে লক্ষ্য করে গুলি করে।”
শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় তারℱ চাচা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় 🍬পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।