জেল থেকে বের হয়ে যা বললেন হৃদয় মণ্ডল

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২২, ০৯:৫৮ পিএম

‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগে গ্রেপ্তার মুন্সিগঞ্জের বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষক হৃদয় চন্দ🧸্র মণ্ডল জেল থেকে বের হয়ে কয়েকটি বিষয়ের ওপর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বিপথগামী কিছু ছাত্র এবং শিক্ষক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে🧜 কিছু শিক্ষকের যোগসাজশ থাকতে পারে।

দুবার জ🍰ামিন আবেদন নাকচ হবার পর রোববার (১০ এপ্রিল) শুনানি শেষে মুন্সিগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ মোতাহারাত আক্তার ভূঁইয়া তাকে জামিন দেন।

কারাগার থেকে বেরিয়ে আপ্লুত হৃদয় মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বিরু☂ꦏদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে, সেটা মিথ্যা।”

হৃদয় মণ্ডল বলেন, “ঠি𝓡ক মতো লেখাপড়া করে না এরকম বিপথগামী কিছু ছাত্র এই কাজ করেছে। ওই ছাত্রদের সঙ্গে বিপথগামী কিছু শিক্ষক জড়িত আছেন।

আশেপাশে প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে কিছু শিক্ষকের যোগসাজশ এখানে থাকতে পারে বলে তিনি মনে ﷽করেন।

ঘটনার🦩 দিন ক্লাসে ঠিক কী হয়েছিল জানতে চাইলে ওই শিক্ষক বলেন, “ওইদিন আমি বিজ্ঞান পড়াচ্ছিলাম। কিন্তু কিছু ছাত্র ধর্মীয় অনুভূতির বিষয় উল্লেখ করে আমাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছিল। ছাত্ররা যে মোবাইলে কথা রেকর্ড করছিল তা বুঝতে পারিনি।”

রোব⛦বার বিকাল💎 ৫টার পরে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জেলা কারাগারের জেলার আবুল বাশার বলেন, “বিকাল সোয়া ৪টার দিকে আমরা জ✱ামিননামার কাগজটি হাতে পেয়েছি। এরপর যাবতীয় ফরমালিটি শেষে বিকাল ৫টা ২ মিনিটে তাকে (হৃদয় মণ্ডল) ছেড়ে দেওয়া হয়।”

হৃদয় মণ্ডলের আইনজীবী শাহীন মোহাম্মদ আমানুল্লাহ কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, &ld🍌quo;আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র যাচাই শেষে কারা কর্তৃপক্ষ শিক্ষককে মুক্ত🍌ি দিয়েছেন।”

গত ২০ মার্চ মুন্সিগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ক্লাসে বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করেন হৃদয় মণ্ডল। তিনি ধর্মক🅷ে একটি ‘বিশ্বাস’ এবং বিজ্ঞানকে &lsཧquo;প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। গোপনে তার অডিও ধারণ করে এক শিক্ষার্থী।

ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন আহমেদের কাছে ওই শিক্ষকের নামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ দেয়। প্রধান শিক্ষক কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে জবাব দিতে বলেন। তবে এর আগেই ২২ মার্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগত𓂃রা জোটবদ্ধ হয়ে হৃদয় মণ্ডলের শাস্তির দাবিতে স্কুলে মিছিল বের করে। একপর্যায়ে হৃদয় মণ্ডলকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাতে তার নামে মামলা করেন স্কুল সহকারী মো. আসাদ।