সিনহা হত্যা মামলা : দণ্ড পেলেন যারা

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৯:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর♏ (অব:) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া 🍸৪টার দিকে কক্সবাজারের জে🌄লা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন

টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত🏅 কেন্দ্রের বরখাস্ত ইনচার্জ লিয়াকত আলী।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন

টেকনাফ থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, এ꧙এসআই সাগর দেব ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা, বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

খালাস পাওয়া সাতজন হলেন

টেকনাফ থানার কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মোহাম্মদ মোস্তফা, এপিবিএনের সদস্য এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাজীব ও মোহꦆাম্মদ আব্দুল্লাহ।

এর আগে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্𝓰টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

জা🌳না যায়, সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া রাশে♑দ ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র বানানোর জন্য প্রায় এক মাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার একটি রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন। ওই কাজে তার সঙ্গে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ।

সেই সময় কক্সবাজারের পুলিশ বলেছিল, সিꦯনহা তার পরিচয় দিয়ে তল্লাশিতে বাধা দেন। পরে পিস্তল বের করলে চেকপোস্টের পুলিশ তাকে গুলি করেন।

পরে ওই বছরের ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দ൩াশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত🐎 আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী, প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে এই হত্যায় সংশ্লিষ্টত☂া পাওয়ার কথা জানিয়ে টেকনাফ থানায় করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারী আর্মডꦯ পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনﷺস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া 🌞অন্য ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

অন্যদিকে প্রায় সাড়ে চার মাস তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা 🎉র‌্যাব-১৫-এর কক্সবাজারের তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ১৫ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকা💃ণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০২১ সালের ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ🌞্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ এꦆবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর।

এ মামলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর ಌসাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।