ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি ও পুলিশসহ আহত ১০

জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সং൲ঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মী গুলিবিদꦍ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ আল আমিনকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আল আমিন🌠 (২২) বাঘাডোবা গ্রামের আচ্ছা মিয়ার ছেলে।

সংঘর্ষে জড়িত কর্মীদের দেওয়া আগুনে পুলিশের একটি পিকআপ ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। ꧒এছাড়াও আনসারদের বহন করা এ🙈কটি গাড়িও ভাঙচুর করে তারা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশি হামলায় আহত হয়েছেন চারজন সাধারণ লোক। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর কর্মীদের আঘাতে আ🍨হত হয়েছে পাঁচ পুলিশ সদস্য𓆏। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। প্রার্থীর কর্মীদের ছোড়া পাল্টা গুলিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় ভোটকেন্দ্রসহ আশেপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ভোটারসহ আহত সাধারণ লোকেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

আহতরা হলেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম সম্রাট, ওসি তদন্ত আব্দ💫ুর রহিম, কনস্টেবল আব্দুল আলিম (৪০), মো. শাহ🔥জাহান (৫৫), আ. মজিদ (৫৭) ও আনসার সদস্য আব্দুল আলিম (২৫)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎস♏করা এ্যাম্বুলেন্সযোগে এসে ঘটনাস্থলেই আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।

খবর পেয়ে র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিসের দল, জামালপুর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড তাহমিনা আক্তার,💙 বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা 🎀ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপুর ১২টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সিদ্দিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) মনোয়ার হোসেন হকের এজেন্টদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ খবর বাইরে ছড়িয়ে পড়লে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষের 🎉কর্মীরা। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপে আগুন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচনে ব্যবহৃত ৩টি মোটরসাইকেলেও আগুন দেয় উভয়পক্ষের উত্তেজিত লোকজন। পুলিশ গুলি করলে প্রার্থীদের কর্🦹মীরাও পাল্টা গুলি চালায়। সংঘর্ষ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় আরও তিনজন। উত্তেজিত কর্মীদের দেওয়া আগুনে গাড়িগুলো পুড়ে যাওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের দল এসে আগুন নেভায়।

ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা উচ্♉চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, উদ্ভূ💯ত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

ওসি মো. শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া লোকজনের আঘাতে ৫ পুলিশ ও এক আনসার সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছ𝓀োড়ে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লি🔯জা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন𒅌 করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।