নিষিদ্ধ ঘোষিত🌳 সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ঝটিকা মিছিল ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে নেতাকর্মীরা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে নিরালা মোড় এলাকা থেকে ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়। এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্🍒র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের সভাপত✅ি মীর ওয়াছেদুল হক তানজীলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন এই মিছিলে অংশ নেন। তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে গত আগস্টে বঙ্গবন্ধুর ভেঙে ফেলা প্রতিকৃতিতে বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি টাঙিয়ে তাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ শুভদিন ছাত্রলীগের জন্মদিন’, ‘আজকের এই দিনে মুজিব তোমায় পরে মনে’- স্লোগান দিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
প্রত্꧋যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া মীর ওয়াছেদুল হকসহ ওই মিছিলে অংশ নেওয়া অনেকেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল শহর শাাখার নেতাকর্মী। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে। ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর থেকে তারা আত্মগোপনে রয়েছে।
এদিকে নি☂ষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিলের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ছাত্রপ্রতিনিধি আবু শেরশাহ আহম্মেদ সকালে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ সংগঠনের লোকজন কার্যক্রম চালাচ্ছে। আন্দোলনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলাকারীরা দিব্য🍌ি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাহলে প্রশাসন কী করে?”
ছাত্র ফেডারেশনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমান বিথী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগের মিছিল ও পুষ্পস্তবক অর্পণের ছবি দিয়ে লিখেছেন, “টাঙ্গাইল ছাত্রলীগের আজকের মিছিল এটা। শহর ছাত্রলীগের সভাপতি তানজীলসহ বাকি গুন্ডাবꩵাহিনী দিব্যি ঘুরে বেড়ায়, উদ্যানে এসে মুড়ি খেয়ে যায়। তাহলে টাঙ্গাইলের প্রশাসন আসলে কী করে?”
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ জানান, আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে পুষ্পস্তবক অর্পণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ছাত্রলীগ আগের ছবি দিয়ে প্রপাগান♑্ডা চালাচ্ছে।