খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর শিববাড়ীর মোড়ে জিয়া হলের সামনে এꦦ হামলার🔜 ঘটনা ঘটে।
এতে ছাত্রীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরি🌼চর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সꦏাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, “নগরীর শিববাড়ীর মোড়ে জিয়া হলের ভেতর থেকে আমরা বাইকে𒈔 বের হচ্ছিলাম। এ সময় এক দল দুর্বৃত্ত অতর্কিত ইট-পাটকেল ও ছুরি দিয়ে হামলায় চালায়। এতে নাজমুল, খালিদ, সাম্মী, সাদিয়া, দিয়া, রুমি, আমিসহ ৮ জন আহত হয়েছি। আমাদের রক্ষা করতে নারীরা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে সাদিয়া ও দিয়াসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে দুজনকে। সারা দেশে কারা হামলা করছে, কেন হামলা করছে আমরা কিছুই জানি না।“
সা🉐জিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “খুলনার মতো শহরে প্রতিদিন গুলির ঘটনা ঘটছে। দিনকে দিন প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আমরা হতাশ। খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যদি উন্নতি না হয় আমরা পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ চাইবো। আমরা আশা করব তাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের নামার আগে তারা নিজেরাই পদত্যাগ করবেন।”
সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের শিক্ষার্থী রুমি রহমান বলেন, “আমরা ওখানে নিজেদের মধ্যে একটি বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। মেয়েরা সাইডে ছিলাম। বাপ্পিসহ কেউ কেউ বাইকে আসছিল। এ সময় ১৬-১৭ জনের একটি দল এসে অতর্কিত হামলা চালায়। তখন আমরা ছেলেদের রক্ষার চেষ্টা করি। তখন মেয়েদের ওপর নির্লজ্জভাবে হামলা করা হয়। এতে সাদিয়া ও দিয়া গুরুতর আহত হন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই যথায💮থ প্রমাণের ভিত্তিতে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।”
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্তꦐ কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে যেটা শুনেছি নিজেদের মধ𝕴্যে একটি অনুষ্ঠান শেষে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে।”
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ও⛎পর হামলার প্রতিꦗবাদে সন্ধ্যা ৭টায় শিববাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।