কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০১:২৬ পিএম

উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে প🌳ড়েছে কুড়িগ্𓆉রামের জনপদ। ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারদিক। এরই মধ্যে বইতে শুরু করেছে চলতি শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।

পৌষের শুরুতেই গত কয়েকদিন থেকে মধ্যরাতে বৃষ্টির মতো করে পড়ছে কুয়াশা। ঘনকুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়েছে সূর্য। জেলার ৯ উপজেলার মানুষ শীতের প্রকোপে চরম বিপাকে পড়েছেন। সবচেয়ে কষ্টে রয়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবিরা। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ✅্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আদ্রর্তা ৯৮ শতাংশ। চলতি শীত মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

ঘনকুয়াশায় সূর্য ঢাকা পড়ায় রোদের উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লোকজন। ফলে দিনের বেলাতেও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। রাতের বেলায় পুরনো কম্বল ও কাঁথা দিয়ে কেউ কেউ শীত নিবারণ করলেও দিনের বেলায় পড়তে হয় বিপাকে। দিনের বেলায় গরম পোশা✨কের অভাব দেখা দেয়ায় পুরনো কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হতে দেখা যায় দিনমজুর শ্রমিকদের।

জেলা শহরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, “এই এলাকাটা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। নদের ঠান্ডা বাতাসে গরিব মানুষগুলো খুবই কষ্টে আছে। সরকার থেকে ১২টার মতো কম্✃বল দিছে, বাকি লোকগুলা পায় নাই।”

দিনমজুর সাগর দাস বলেন, “রাইতত🐲 গত❀বারের কম্বল দিয়া ঠান্ডা পার করি। দিনত পরার মতো গরম জামা নাই হামার। কম্বল না দিয়া গরম জামা দেও।”

ওষুধ ব♊্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, “দুইদিনের থেকে আজকের ঠান্ডাটা খুব বেশি। আজ বাতাসের কারণে সূর্যের উত্তাপ গায়ে লাগছে না। ঘনকুয়াশায় সব ধোঁয়াশা লাগে।”

জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, “আজ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রব🌺াহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরো নিম্নগামী হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। চলতি মৌসুমে আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।”