নারীদের মেলায় না আসার জন্য মাইকিং, যা জানা গেল

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ০৬:১১ পিএম
ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও ✅ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মাইকিং করে নারীদের মেলায় না আসার জন্য বলা হচ্ছিল। বিক্রেতাদেরꦕ বলা হচ্ছিল, তারা যেন নারীদের কাছে পণ্য না বিক্রি করেন।

এ ঘটনা সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশের মধ্যে। পাশাপাশি এই ভিডিওকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় মিডিয়া বাংল♔াদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাতে শুরু করে। তাদের দাবি, বাংলাদ🥀েশ নাকি তালেবান রাষ্ট্র হয়ে যাচ্ছে। দেশের নারীরা নাকি বাজারে যেতে পারছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিডিওটি গো🉐পালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার একটি বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের মেলার। ২৭ নভেম্বর টুঙ্গিপাড়ার গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা তিনদিনের এই বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ মানুষের সমাগম হয় এই মাহফিলে। মাহফিলকে ঘিরে পাশেই গড়ে ওঠে বিভিন্🌃ন খাবারের দোকানের মেলা। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও গণজমায়েত এড়াতে এলাকার নারীদের মেলায় না আসার অনুরোধ করে মাইকিং করেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এবারই প্রথম নয়, প্রতিবছরই মাহফিলে না আসার জন্য স্বেচ্ছাসেবীরা এইভাবে অনুরোধ করে থাকেন।

এ বছরের মেলার অনুরোধে সেই ভিডিও ত♔ে বলতে শোনা যায়, “দোকানদার ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে, মাহফিল চলাকালীন কোনো দোকানদার ভাই মহিলাদের কাছে কিছু বিক্রি করবে না। যদি কোনো মহিলা আসে তাদের সুন্দর করে বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেবেন। এ ছাড়া নামাজ চলাকালীন সবাই দোকানের পর্দা নামিয়ে দোকান বন্ধ রেখে নামাজে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।”

ফারহান লাবিব নামে মাহফিলের এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, “এমন অনুরোধ প্রতিবছর মাহফিলে করা হয়। বিগত দিন শেখ হাসিনার আমলেও অনুষ্ঠিত মাহফিলে করা হয়েছে। যে ভিডিওটি ভারতীয় মিডিয়া প্রচার করছে। এখানে নারীদের বাজারে যেতে নিষেধ করা হয়নি। মাহফিল চলাকালীন মেলায় না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমানে নারীরা এলাকার বাজারে গিয়ে তারা তাদের দৈনন্দিন কেনাকাটাসহ বিভিন্ন কাজকর্♚ম করছেন।”

টুঙ্গিপাড়া এলাকার💝 রোজিনা নামের নারী বলেন, “আমাদের বাজারে না যাওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছি। গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের মেলায় নারীদের না যাওয়ার অনুরোধ করে। আমরাও যাই না। এ বছরও করেছে। তব𝓡ে মাহফিল চলাকালীন মেলা ছাড়া যে কোনো যায়গায় আমরা গিয়েছি। কেউ বারণ করে নাই।”

গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার দপ্তর সম্পাদক মাওলানা রেজাউল হক বলেন, “ভারতীয় মিডিয়ার দাবিটি সঠিক নয়। তারা উদ্দেশ🅘্যপ্রণোদিতভাবে এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে কখনো এমন ঘোষণা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র মাহফিলের মেলায় না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”