সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলা সদর থেকে পোরশা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কে ২০টি আয়না স্থাপন করেছে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ। আয়না দিয়ে আঁকাবাঁকা সড়কের অনেক দূর পর্যন্ত দেখতে পাওয়ায় চালকেরা💛 দুর্ঘটনা এড়াতে সহায়তা পাচ্ছেন।
সওজ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর-পোরশা আঞ্চলিক মহাসড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। এই সড়কে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি সড়ক আয়না স্থাপন কর🎐া হয়েছে।
নিয়ামতপুর-পোরশা সড়ক দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ট্রাক চালক জানিয়েছেন, গোলাকার আকৃতির সড়ক আয়নার সহায়তায় সড়কের বাঁকে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি ও ছবি স্পষ্ট দেখা যায়। এতে করে নিজ নিজ গাড়ির গতিনিয়ন্ত্রণ করে নিরাপদে অতিক্রম করা যাচ্ছে। এ ধরনের আয়না প্🦹রত্যেক সড়কে স্থাপন করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।
ট্রাকচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, “এই সড়কে বাঁক বেশি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হতো। সড়কে আয়না স্থাপন করায় এখন বিপরীত দিকে আসা যানবাহন সহজেই নজরে আসছেꦆ।”
ভ্যানচালক আকবর হোসেন বলেন, গোলাকৃতির সড়ক আয়নার সহায়তায় সড়কের বাঁকে বিপরীতไ দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি ও ছবি স্পষ্ট দেখা যায়। এতে করে নিজ নিজ গাড়ির গতিনিয়ন্ত্রণ করে নিরাপদে অতিক্রম করা যাচ্ছে। এ ধরনের আয়না প্রত্যেক মোড়ে স্থাপন করলে সড়ক দুর্ঘটনাꦺ কমে আসবে।
এনজিও প্রতিনিধি মোটরসাইকেলের চালক করিম ইসলাম বলেন, “নিয়মিতভাবে এই রাস্তা 𓃲দিয়ে চলাচল করি। মাস তিনেক আগে চৌপুকুরিয়া মোড়ে এক অটোভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর জখম হয়েছিলাম। এখন সড়ক আয়নার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে নিরাপদে চলাচল করা সম্ভব।”
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল হক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সরকার নানা উ𒆙দ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষামূলকভাবে নিয়ামতপুর-পোরশা সড়কের ২০টি বাঁকে স্থাপন করা হয়েছে সড়ক আয়না। পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ 🎃বাঁকে এগুলো স্থাপন করা হবে।