যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অনশন, বিয়ে করলেন একজনকেই

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৪, ১০:১৯ এএম

ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন। এর মধ্যে অনশনে বসা রুনা নামের একজনকে দꩵ𒐪ুই লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করলেন শাহীন।  পরে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় অন্যজন বাড়ি ফিরে যান। 

রোববার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের 🦋বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে রুনা ও শাহীনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

শাহীন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে। আর রুনা হরিণা♏কুন্ডু উপজে💎লার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, গতকাল রাতে পাশের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে জেলা সদরের বাসিন্দা আরেক তরুণী বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়িতে আসেন। এক যুবকের বা💙ড়িতে দুই তরুণীর অবস্থানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্য𒊎ের সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে এক তরুণী🌄র সঙ্গে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তাঁদের দুই পরিবার বিয়েতে রাজিও ছিল। কিন্তু একপর্যায়ে মেয়ের পরিবার বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর পরিবার থেকে অন্যত্র বিয়ে দিতে গেলে ওই তরুণী পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। অন্যদিকে দুই মাস হলো আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শꦕাহীনের। খবর পেয়ে তিনিও শাহীনের বাড়িতে যান বিয়ের দাবিতে।

শাহীনের চাচা শামছুল ইসলাম জানান, “শনিবার বিকেলে এই মেয়ে আসে বিয়ের দাবি🌞তে। পরে আরেক মেয়ে এলে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এখন সব সমস্যার সমাধান করে প্রথমে যে ༒মেয়েটি এসেছিল, রুনার সঙ্গে শাহীনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

শাহীন বলেন, “প্রথমে রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে সাদিয়া চলে আসায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। পরে যখন সাদিয়া স💯্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায় তখন রুনাকে বিয়ে করতে আর কোনো বাধা থাকে না। তারপরও সামাজিক অনেক ঝামেলা পেরিয়ে রাত ১১টায় রুনাকে�� বিয়ে করি।”

রুনা বলেন, “আমি প্রথম থেকেই শাহীনকে ভালোবাসি। তাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে ওই মেয়ে এলে সম💃স্যা দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওয়ায় আমাদের দুজনের বিয়েতে আর কোনো বাধা থাকে না। আমি শাহীনকে বিয়ে করতে পেরে আমার ভালোবাসা শতভাগ খাটি বলে মনে করছি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সন্তোষ কুমার বলেন, রাতেই একজ💛নকে শাহীন বিয়ে করেছে। পরে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় আরেক তরুণী বাড়ি ফিরে গেছে।